মোঃ জামিল হোসেন,ভোলাহাট: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের নিন্মাঞ্চলে পাতি হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার। তাদের মধ্য সফল ব্যক্তি সুরানপুর গ্রামের আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদও একজন।রোগবালাই কম হওয়ায় ঝুঁকি কম, তাই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন অনেকে। এসব খামারে পাতি হাঁস বেশি পালন করা হয়। উপজেলার ছোট বড় প্রায় খামারে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেক বেকার যুবকের।
ভোলাহাটে বিলভাতিয়ার বাগডোগ্রা,চকচোকা নিন্মাঞ্চল বছরে কয়েকমাস তলিয়ে থাকে। এ সময় কোন ফসল না হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। আয়ের বিকল্প উৎস হিসেবে কয়েক বছর ধরে তারা বিলভাতিয়ায় গড়ে তুলেছেন ভ্রাম্যমাণ পাতি হাঁসের খামার।এখন তারা বিল ভাতিয়ায় পাঁতিহাস পালন করছেন।
খামারী মাসুদ জানায়, এ বছর প্রথম আমি ৭শত পাতি হাঁস দিয়ে খামার শুরু করি, এবং পরে আরো ২শ হাঁস যোগ করি।আমি ৯ শ পাতি হাসঁ থেকে প্রতিদিন ৫০০ডিম পাই।খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন আমার আয় হয় ২৫০০টাকা।
এতে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক বেকার যুবকের। স্থানীয়ভাবে এসব পাতি হাঁসের মাংসের চেয়ে ডিমের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে বলে জানালেন খামারীরা।
খামারী মাসুদ জানায়, আমাদের বিলভাতিয়া বাগডোগরার বিলে প্রায় ১৭ জন খামারী আছে সব মিলে ১০হাজার পাতি হাঁস আছে, তা থেকে প্রতিদিন গড়ে ডিম পাওয়া যায় ৬ হাজার।
হাঁসের জন্য আলাদা খাবার কেনার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া, রোগবালাই কম হওয়ায় ঝুঁকি অনেকটাই কম বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে একই গ্রামের ঝাটু শেখের ছেলে মুনিরুল ইসলাম জানায়,আমি ১০ বছর যাবত পাতিহাঁস পালন করে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছি,এখান থেকেই আমি ছেলে মেয়েদের রাজশাহী তে লেখা পড়া করাতে পারছি।আরো কয়েকজন খামারী হাবিবুর রহমান, রুবেল আলী,ও রহিম আলী।
খামারীদের দাবী আমরা যদি সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা পাই তবে স্থায়ীভাবে খামার গড়ে তুলতে পারবো।
হাঁস পালনে খামারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ।
উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের হিসেবে উজেলায় পাতি হাঁসের খামার আছে ২২টি। এর মধ্যে সবগুলোই খামারে ডিম উৎপাদন করা হয় ।অনেক খামারী আছে যাদের বারবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলা হলেও তারা আমাদের কাছে যোগাযোগ করছেনা ডিলারদের মাধ্যমে ওষুধ সহ খাবার নিয়ে খামার করছেন।
Leave a Reply